বাংলাদেশকে সাড়ে ২২ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান। বর্তমান বাজারদরে (১০৮ টাকা প্রতি ডলারের দাম ধরে) এর পরিমাণ ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই টাকা খরচ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাপান সরকারের মধ্যে এ–সংক্রান্ত বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিনিময় নোট ও চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান। জাপানের পক্ষে বিনিময় নোটে রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি এবং চুক্তিতে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড সই করেন। শেরেবাংলা নগরের ইআরডি সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়।
ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ৬ শতাংশ, এককালীন ফ্রন্টএন্ড ফি দশমিক ১ শতাংশ। ঋণটি ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে জাপান সরকার বাংলাদেশকে মোট সাড়ে ৬৮ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার ঋণ দিয়েছিল।
দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপান সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লি উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা প্রদান করছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ৩ হাজার ১২০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে।