সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মঞ্চে আসেন শামীমা আক্তার। তাঁকে আবেগে জড়িয়ে ধরেন সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানা।
পরে শবনম বলেন, ‘আমার সারাহ বেঁচে আছে অসংখ্য মানুষের মাঝে। আমি মনে করি না, সারাহ মারা গেছে। সন্তান হারানোর বেদনা আমার আছে। আমি আজকের দিনের অনুভূতি বোঝাতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ।
সারাহ ইসলাম যে পথ দেখিয়েছেন, আশা করি এ পথে অনেকে অঙ্গ দান করবেন।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। উপাচার্য বলেন, তিনিসহ মোট সাতজন সারাহর মতো অঙ্গদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ সাতজন অঙ্গদানের জন্য তৈরি করা কার্ডে স্বাক্ষর করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেছেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি অঙ্গদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
সারাহর একটি কিডনি বিএসএমএমইউতে একজন কিডনি রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। অন্য কিডনি বিএসএমএমইউ থেকে কিডনি ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে একজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া সারাহর দুটি কর্নিয়া দুজনের চোখে লাগানো হয়। একজনের অস্ত্রোপচার হয় বিএসএমএমইউতে, অন্যজনের সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে।