লোডশেডিংয়ের আশঙ্কার কথা আজ দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। আশঙ্কার কথা জানানোর দিনেই সারাদেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ।
কারিগরি ত্রুটির কারণে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় শনিবার সারাদেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
এদিকে এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের ফ্লোটিং স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে।
অতি দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকায় খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, আজ দুপুরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৯১৬ মেগাওয়াট।
এর আগে আজ দুপুরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকাতে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। তবে সাময়িক এ সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে দ্রুত সমাধানে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার দিনভর গ্যাস না পেয়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। শনিবার সকাল থেকে সরবরাহ শুরু হয়েছে।