সারাদেশে যৌথ অভিযানে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ৬০৮

0
27
যৌথ অভিযান

সারাদেশে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৬০৮ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ৬০৮ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২৯৫টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, জালনোট, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, ঈদ উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে গণপরিবহনের টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে টহল, সচেতনতামূলক মাইকিং, কালোবাজারি রোধ ও টিকিটের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। মহাসড়কে বিকল্প রুট, পার্কিং ব্যবস্থা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং রোড ব্লক প্রতিরোধে দিনরাত কাজ করেছে সেনা টহল দল, যা ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে করেছে সহজ ও নিরাপদ।

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে সম্পৃক্তদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী।

এছাড়া নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালাসহ অবৈধ পার্কিং এবং রাস্তা ও ফুটপাত বেদখলকারীদের অপসারণ করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব মহা অষ্টমী, পূণ্যস্নান ও বাসন্তী পূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.