ঢাকার অদূরে সাভার ও আশুলিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সাভার মডেল থানা ও আশুলিয়া থানায় পৃথক ৩টি মামলায় বিএনপির ১০৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ জানায়, গতকাল ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না থাকায় তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। গতকাল বেলা দুইটার দিকে আমিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের অদূরে মেসার্স শাহ আলম ফিলিং স্টেশনের সামনে পরপর তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কাগজের ব্যাগ খুঁজে পায়। ব্যাগের ভেতরে তারা লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু দেখতে পায়। ওই ঘটনায় রাতেই সাভার মডেল থানার পুলিশ বাদী হয়ে ৪৩ জনকে আসামি করে মামলা করে।
আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিকাশ নামের বাসের জানালা ও সামনের কাচ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আরও বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় রাতে বাসের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির ৩২ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। আশুলিয়া বাজার এলাকায় একটি অটোরিকশা পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করে।
সাভারে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমিনবাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। আসামিরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, আশুলিয়ায় পৃথক দুটি স্থানে বাস ও অটোরিকশা ভাঙচুর ও রিকশা পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
ঢাকার আমিনবাজারে ককটেল বিস্ফোরণ, ককটেলসদৃশ ৬টি বস্তু উদ্ধার
সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গতকাল পুলিশ আমাদের কর্মসূচি পালনই করতে দেয়নি। আমরা তো কোথাও দাঁড়াতেই পারেনি। গাড়ি পোড়ানো, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো সাজিয়ে হয়রানির জন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে।’