গুম-অপহরণ, নির্যাতন, খুন ও জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে রাখা হয়েছে। এই সাব-জেল কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হবে, যা সার্বিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই তথ্য জানান।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, অভিযুক্তদের সাব-জেল বা অন্য কোথায় রাখা হবে, সেটার তদারকি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
জানা গেছে, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলটি রানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে পরিচালিত হবে। এরইমধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেয়া হয়েছে। আজকের জন্য ৩৫ জন কারারক্ষী সেখানে নিয়োজিত থাকবেন।
সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ ইসলাম বলেন, আমরা বন্দির সংখ্যা হিসেবে কারারক্ষী নিয়োজিত করি। আজকের জন্য ৩৫ জন নিয়োজিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন জানান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ১৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি তিনটি আবেদন করেছেন—যার মধ্যে জামিন আবেদন ২০ নভেম্বর শুনানি হবে। এছাড়া প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন এবং তাদের যেন সাব-জেলে রাখা হয়, সেই আবেদনও করা হয়।
অন্যদিকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আসামিরা এখন কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে চলে গেছেন এবং কারা কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ সরকার ঠিক করবে আসামিদের কোন কারাগারে বা সাব-জেলে রাখা হবে, সেটা ঢাকায় নাকি চট্টগ্রামে বা অন্য কোথাও।