দেশের ঋণমান কমিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন সাত ব্যাংকের রেটিংও কমানোর তথ্য দিল আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিস। এসব ব্যাংকের মধ্যে ছয়টির ‘দীর্ঘমেয়াদি আমানত’ ও ‘ইস্যুয়ার রেটিং’ অবনমন করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো রেটিংয়ের তালিকায় যুক্ত হওয়া ব্যাংকটিও নেতিবাচক রেটিং পেয়েছে।
বুধবার মুডিস তার ওয়েবসাইটে বাংলাদেশি ব্যাংকের ঋণমান-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
দেশে ৬১টি ব্যাংক থাকলেও মাত্র সাতটি ব্যাংক মুডিসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। যে কারণে এসব ব্যাংকের রেটিং করেছে সংস্থাটি। ব্যাংকগুলো হলো বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, দ্য সিটি, ডাচ্-বাংলা, ইস্টার্ন, এনসিসি, প্রিমিয়ার ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এর আগে গত ডিসেম্বরে মুডিস এসব ব্যাংকের রেটিং পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছিল। এর পর পর্যালোচনার পর বুধবার নতুন রেটিং প্রকাশ করল।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, সাধারণত দেশের ঋণমান কমলে ব্যাংকের রেটিংও কমে। রেটিং কমলে তখন দেশের বাইরে থেকে নেওয়া ঋণের খরচ বেড়ে যায়। তিনি জানান, মুডিস সাধারণত প্রতি ছয় মাস অন্তর পুনর্মূল্যায়ন করে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নতি হলে ছয় মাস পর আবার ঋণমান উন্নতি হবে।
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর থেকে মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস কান্ট্রি রেটিং প্রকাশ করে। দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রেটিং ‘বিএ৩’ ছিল। যা কমে দাঁড়িয়েছে ‘বি১’। তবে আউটলুক বা ভবিষ্যতের জন্য আভাস আগের মতোই ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।
কোনো দেশের ক্রেডিট রেটিং বিনিয়োগকারীদের সে দেশের সম্ভাবনা ও ঝুঁকি সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। ঋণমান হলো, কোনো দেশের ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা। ঋণমানের মূল্যায়ন থেকে কোনো দেশের ঋণ পরিশোধের ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।