ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

0
137
ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। তোষাখানা মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বারবার বিরত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত দায়রা জজ জাফর ইকবাল এ আদেশ দেন। খবর দ্য ডনের।

ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ক্ষমতায় ফেরে। আর দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হন।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নানা সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অন্তত চারটি মামলা চলমান। গত ৩ নভেম্বর পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে দলীয় সমাবেশে তাঁর ওপর বন্দুক হামলা হয়। পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হামলায় বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতাও আহত হন; মারা যান এক কর্মী।

মঙ্গলবার ইমরান খান ইসলামাবাদের জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স এলাকায় আদালতে হাজিরা দিয়ে সন্ত্রাসবাদ ও নিষিদ্ধ তহবিলসংশ্লিষ্ট দুটি মামলায় জামিন নেন। ওই সময়েই অপর এলাকায় দায়রা জজ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই আদালত এফ-৮ কাচারি এলাকায়, যা জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স থেকে গাড়িতে আধা ঘণ্টার পথ।

তোষাখানা মামলায় ইমরানের আইনজীবী ওই আদালতকে বলেন, ইমরান কয়েকটি মামলায় অপর আদালতগুলোতে হাজিরা দিতে গেছেন। এ কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারছেন না। কিন্তু বিচারক জাফর ইকবাল তা আমলে না নিয়ে পরোয়ানা জারি করেন।

এ পরিস্থিতিতে আজই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত ৯ মার্চ এ হাইকোর্ট তাঁকে আগাম জামিন দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ও জামিনকে কেন্দ্র করে আদালত ও এর আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

গত আগস্টে তোষাখানার চারটি উপহার বিক্রির অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করে পিএলএমএন নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। পাকিস্তানে তোষাখানা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন বিভাগ। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে যেসব মূল্যবান উপহার পান, এটি সেগুলো সংরক্ষণ করে। তোষাখানার নিয়ম অনুযায়ী, কেউ উপহার পেলে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানাতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.