সাকলায়েনকে নিয়ে মডেল পিয়া জান্নাতুলের অন্য অভিযোগ

0
70
এবার সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আরেক শোবিজ তারকা, মডেল ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল

কয়েক দিন পরপরই পরীমনি নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে শোবিজ অঙ্গন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আলোচিত এই অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েনের। এই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমনির অনৈতিক সম্পর্ক প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের সময়টাতে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্ব পালন করছিলেন সাকলায়েন। তবে এবার সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন আরেক শোবিজ তারকা, মডেল ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল।
সাকলায়েন ও পরীমনিকে নিয়ে যখন চারদিকে শোরগোল তখনই নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন পিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), যিনি আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি ও আম্মা আব্বাকে দেখতে প্রতিদিনই ডিবি অফিসে যেতাম।’

পিয়া জান্নাতুল
পিয়া জান্নাতুল

দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ঘটনার আদ্যোপান্তও তুলে ধরেছেন পিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘এই সেই ব্যক্তি, যিনি প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বকভাবে সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দি নিতে আব্বার সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমি সম্মতি না দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম আব্বাকে। কেননা, এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না তিনি। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে যাওয়ার আগেই তিনি আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আদালতে পরদিন জমা দিয়ে দেন। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করায় আমার ওপরও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং আব্বাকে বলেন, আমি যাতে চুপ থাকি। তাঁর জানা ছিল না যে চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি আমি।’

আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘তিনি (গোলাম সাকলায়েন) যেদিন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেপ্তার করেছিলেন, তখন আব্বা এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আব্বার বয়স তখন ৭৭ বছরের বেশি।

তিনি বলেন, “আজ আমার ছেলের স্কুলে অনুষ্ঠান। আমার জন্য বড় একটি দিন হলেও এখানে আমি ডিউটি করছি।” বেচারা পরিবারকেন্দ্রিক মানুষটি এখন সব হারাল। আমার দেখামতে, এই জনাব গোলাম সাকলায়েন ব্যক্তিটি খুবই তীক্ষ্ণ, প্রতিভাবান ও ধূর্ত। কিন্তু একটি ভুল তাঁর সবকিছু শেষ করে দিল। যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাকে ক্ষমা করে দিই। কিন্তু প্রকৃতি ও সর্বশক্তিমান সব সময় সঠিক বিচার করার জন্য রয়েছেন।’

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এই ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত ৭৫ জন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়। মামলার বাদী বনানী থানা-পুলিশ। এই মামলার অন্যতম আসামি এস এম এইচ আই ফারুক শোবিজ তারকা পিয়া জান্নাতুলের শ্বশুর। এস এম এইচ আই ফারুক জমির মূল মালিক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.