বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব নিহত হওয়ার মামলায় অন্যতম আসামি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাদেক কাউসার দস্তগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
মো. সাদেক কাউসার দস্তগীর বর্তমানে শেরপুর জেলা পুলিশে কর্মরত আছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনারের (ক্রাইম উত্তর) দায়িত্বে ছিলেন।
পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার পর আজ আমাদের টিম শেরপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাদেক কাউসার দস্তগীরকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরের বন্দরবাজারের কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলের পেছনে ধাওয়া করে পুলিশ গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিকের নিজস্ব প্রতিবেদক এ টি এম তুরাব। প্রথমে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে নগরের সোবহানীঘাটের ইবনে সিনা হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তুরাব।
নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৯ আগস্ট নিহতের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ জাবুর বাদী হয়ে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১৮ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাদেক কাউসার দস্তগীর মামলার এজাহার নামীয় দ্বিতীয় আসামি।
প্রথমে মামলাটি এসএমপির কোতোয়ালি থানাপুলিশ তদন্ত শুরু করলেও আদালতের নির্দেশে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ৮ অক্টোবর মামলার নথিপত্র কোতোয়ালি থানাপুলিশ পিআইবিকে বুঝিয়ে দেয়। পরদিনই বিকেল ৩টায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরসালিনের নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি দল ঘটনাস্থল বন্দরবাজার কালেক্টরেট মসজিদ এলাকা পরিদর্শন করে।