সর্বাধুনিক ফিচার ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর

0
166

বাংলাদেশি ক্রেতাদের চাহিদা ও ব্যবহারবিধির কথা বিবেচনা করে কনজ্যুমার ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিঙ্গার বাংলাদেশ দেশের বাজারে নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটর নিয়ে এসেছে। এই সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ফলমূল ও শাকসবজি সতেজ রাখার পাশাপাশি ভিটামিনও অটুট রাখবে।

ইউরোপীয় ডিজাইন ও প্রযুক্তির এসব রেফ্রিজারেটর আধুনিক বাসাবাড়ির জন্য বেশ উপযোগী। একই সঙ্গে এর উদ্ভাবনী ‘ফ্রেশ-ও-লজি’ ও ‘নিউট্রিলক’ ফিচার মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে করবে আরও সহজ ও উন্নত। এ ধরনের উদ্ভাবনী ফিচারসমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটরগুলো প্রথমবারের মতো দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে সিঙ্গার।

সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন সিরিজের এসব রেফ্রিজারেটর উন্মোচন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমএইচএম ফাইরোজ, বিপণণ পরিচালক চন্দনা সামারাসিংহে, বিক্রয় পরিচালক কাজী রফিকুল ইসলাম, পরিচালক (টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন) হাকান আলতিনিসিক, জেনারেল ম্যানেজার (করপোরেট সেলস) আসগার হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার (পণ্য) ফারহান আজহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে এম এইচ এম ফাইরোজ বলেন, ‘দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনী ও নতুন প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটরগুলো নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এই রেফ্রিজারেটরগুলোতে শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। উদ্ভাবনী হোম অ্যাপ্লায়েন্স সল্যুশনের মাধ্যমে ক্রেতাদের জীবনধারার অংশীদার হতে সচেষ্ট রয়েছে সিঙ্গার।’

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশেষ ফিচার ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সিঙ্গারের নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি করা হয়েছে। এগুলো আন্তর্জাতিক গুণগতমান নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারটেককর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। সিঙ্গার ফ্রেশ-ও-লজি হলো একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, যা সবজি ও ফলমূল ২০ দিন পর্যন্ত সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এটি ক্রিস্পার বক্সে বাতাসের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। তাই ব্যবহারকারীদের ঘন ঘন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ঝামেলা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

সিঙ্গারের এই নতুন রেফ্রিজারেটরগুলোতে রয়েছে নিউট্রিলক প্রযুক্তি, যা ২৪ ঘণ্টা সূর্যচক্রকে অনুসরণ করে ক্রিস্পার বক্সে ফল এবং শাকসবজিতে ভিটামিন (ভিটামিন এ এবং সি) সংরক্ষণ করে।

ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গারের নতুন রেফ্রিজারেটরগুলোর বেস স্ট্যান্ডে একটি ড্রয়ার রয়েছে, যাতে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় শুকনা জিনিস, যেমন পেঁয়াজ, আলু, রসুন ও আদা রাখা যাবে।

সিঙ্গার বাংলাদেশের বিপণন পরিচালক চন্দনা সামারাসিংহে বলেন, ‘সিঙ্গারের নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলো বাংলাদেশের রেফ্রিজারেটরের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ক্রেতারা বিশ্বের উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা লাভ করবে এবং এসব রেফ্রিজারেটর তাঁদের জীবনধারার অংশীদার হয়ে উঠবে।’

এ উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যগুলো সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক লাইসেন্সকৃত ট্রেডমার্ক। এ ছাড়া সিঙ্গারের নতুন সিরিজের রেফ্রিজারেটরগুলোতে অন্যান্য উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এ রেফ্রিজারেটরগুলো ১৩৫ ভোল্টের মতো কম ভোল্টেও চলবে। তাই কম ভোল্টেজ বা ভোল্টেজের ওঠানামা ব্যবহারকারীদের কোনো সমস্যায় ফেলবে না। এই রেফ্রিজারেটরগুলোতে অতিরিক্ত ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারেরও প্রয়োজন হয় না।

রেফ্রিজারেটরগুলো একটি অনন্য এবং মজবুত বোতল হোল্ডার দিয়ে সজ্জিত, যা ফ্রিজের দরজার ওপর চাপ এড়াতে তাকের ওপরে রাখা যেতে পারে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গ্যাসকেট রেফ্রিজারেটরে ব্যাকটেরিয়া গঠনে বাধা দেবে এবং আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

পরিবর্তনশীল জীবনধারায় আমাদের সহজ সমাধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেতারা তাৎক্ষণিকভাবে এসব সমাধান খোঁজেন। তাই, এ সময়ে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে কাজ করছে সিঙ্গার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.