চলতি সপ্তাহের শেষে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন সকাল ১০টায় ঢাকায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকবে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর জেলা ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।
এর আগে অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছিল, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। এগুলোর নাম হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী।
এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হবে।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তাঁরা আজীবন পেনশন পাবেন। শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা টানা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পর পেনশন সুবিধা পাবেন।