ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরে টানা ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ। গতকাল শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়, পরে দিবাগত রাত একটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়। তবে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার আটটি ইউনিয়নে এখনো বিদ্যুৎ নেই।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সরাইল কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল শতভাগ বিদ্যুৎ–সুবিধার আওতায় আসা একটি উপজেলা। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সদরসহ ছয়টি ইউনিয়নে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আওতায়। এখানে গ্রাহক আছেন ৪৪ হাজার ৫০০ জন। বিউবোর বেশির ভাগ গ্রাহক টানা ২৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন। উপজেলা সদরে গতকাল ভোর পাঁচটায় বিদ্যুৎ গিয়ে আসে রাত একটার পর। এ ছাড়া পানিশ্বর, চুন্টা, শাহজাদাপুর, শাহবাজপুর, কালীকচ্ছ, নোয়াগাঁও ও পাকশিমুল ইউনিয়নে গতকাল ভোর পাঁচটায় বিদ্যুৎ চলে যায়। আজ সকাল সাড়ে ১০ পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি।
আজ সকালে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, গতকাল ভোর থেকে বিদ্যুৎ নেই। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান শাইরুল হুদা চৌধুরী। শাহজাদাপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুন খান বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীনতায় তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
বিউবোর সরাইল উপজেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আবদুর রউফ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে এখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলা সদরে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে অন্যান্য জায়গার সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। আজ বিকেলের মধ্যে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সচল করা যাবে বলে আশা করছেন।