সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব জমা দেবেন যেভাবে

0
5
সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ
দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
 
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে তারা কীভাবে হিসাব দাখিল করবেন তাও বলা হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গত ১ সেপ্টেম্বর সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলে প্রণয়ন করা ফরমেট সংযুক্ত ছক ‘ক’ ও ‘খ’ মারফত সরকারের কাছে ৩০ জুন পর্যন্ত অর্জিত সম্পদ বিবরণী নভেম্বরের মধ্যে দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
 
এতে আরও বলা হযয়েছে, ক্যাডার/প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা (নবম গ্রেড এবং এর ও পরের) তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তার সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময় দাখিল করবেন।
 
দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তারা (দশম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময়ে দাখিল করবেন।
 
মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীন সরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানের গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত কর্মচারীরা তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময়ে দাখিল করবেন। সম্পদ বিবরণী ফরম হাতে বা কম্পিউটারে কম্পোজ করে পূরণ করা যাবে। ফরমের দেওয়া স্থান সংকুলান না হলে, ফরমের কাঠামো ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পৃষ্ঠা সংযোজন করা যাবে। যৌথ মালিকানায় অর্জিত সম্পদ ও দায়ের ক্ষেত্রে অংশ মোতাবেক প্রাপ্য সম্পদের পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীর সন্তান/সন্তানাদি সরকারি কর্মচারীর ওপর নির্ভরশীল না হলে তার/তাদের সম্পদ এ বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হবে না বলে সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণের নির্দেশনাবলীতে জানানো হয়েছে।
 
সম্পদ বিবরণী ফর্মে ক-অংশে সাধারণ তথ্যাবলির সঙ্গে সরকারি কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের (স্ত্রী/স্বামী/সন্তান) বিবরণ দিতে হবে।
 
খ-অংশে সরকারি কর্মচারী নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে ও বিদেশে অর্জিত সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ করবেন। স্থাবর সম্পদের মধ্যে জমি (কৃষি ও অকৃষি), ইমারত, বসতবাড়ি, ফ্ল্যাট, খামার/বাগান বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সম্পদ থাকলে সেই বিবরণ দিতে হবে।
 
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে অলংকারাদি, স্টকস/শেয়ার/ডিবেঞ্চার/বন্ড/সিকিউরিটিজ, সঞ্চয়পত্র/প্রাইজবন্ড/সঞ্চয় স্কিম, বিমা, নগদ/ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ঋণ প্রদানকৃত অর্থ, এফডিআর/ডিপিএস, জিপিএফ/সিপিএফ, মোটরযান (ব্যক্তিগত/বাণিজ্যিক), ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র/আসবাবপত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য সম্পদের বিবরণ দিতে হবে।
 
গ-অংশে সরকারি কর্মচারী নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে সব দায়ের তথ্য উল্লেখ করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.