সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার-বাংলাদেশ ত্যাগ ৫ গুণ বেড়েছে

0
98
রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ নৌযান মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায়, ছবি: রয়টার্স

সংস্থাটি বলছে, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং জীবিকার তাগিদে রোহিঙ্গারা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা বেছে নিয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ছাড়ার মরিয়া মনোভাবের কারণে ২০২২ সালে সমুদ্রযাত্রার সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই জাতিগত মুসলিম সংখ্যালঘু। তারা কয়েক শতক ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ১৯৮২ সালের পর থেকে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী মনে করা হয়।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে অস্থায়ী শিবিরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। সবশেষ ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী দমন অভিযান শুরু করলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ নৌযান মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায়। নৌযানে এসব রোহিঙ্গারা প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে গিয়ে নামে।

জাতিসংঘের এই সংস্থার মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ২০১৪ সালে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ এই সমুদ্রযাত্রা বেছে নেয়। তাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে বলে মনে করা হয়।

২০২১ সালের তুলনায় গত বছর নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা ৭ শতাংশ বেড়েছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হওয়া প্রায় ৪৫ শতাংশও এতে অন্তর্ভুক্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.