
রাশিয়া–ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিচুক্তির আলোচনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নমনীয় হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সরাসরি সম্প্রচারে এ কথা বলেন তিনি।
ফক্স নিউজের পক্ষে থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি সোমবার পুতিনকে ফোন করেছিলেন এবং আশা করছেন রুশ প্রেসিডেন্টের ‘আচরণ ভালো হবে’। তা যদি না হয়, তাহলে ‘খারাপ পরিস্থিতি’ হতে পারে।
জেলেনস্কিকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আশা করেন, জেলেনস্কির ‘যা করার দরকার, তা করবেন’। তবে আলোচনায় তাঁর নমনীয় হওয়া দরকার। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি এটা বলবেন না যে জেলেনস্কি আর পুতিন কখনো ‘সবচেয়ে ভালো বন্ধু’ হয়ে যাবেন। তবে লক্ষ করেছেন যে এ দুই নেতাই সেই ব্যক্তি, যাঁদের ‘মূল সিদ্ধান্ত নিতে হবে’।
সাড়ে তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এরই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এর তিন দিনের মাথায় গতকাল দিনভর হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি ও ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জেলেনস্কি ও ইউরোপের নেতারা জানিয়েছেন।
পুতিন–ট্রাম্প বৈঠকের পর সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছিল, রাশিয়া চায় নিজেদের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের পুরোটা মস্কোর হাতে তুলে দেবে ইউক্রেন। বিনিময়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা কিছু অঞ্চল ছেড়ে দেবে মস্কো। কিয়েভ এতে রাজি থাকলে সম্মুখসারি বরাবর যুদ্ধ বন্ধ করবেন রুশ সেনারা। তবে শুরু থেকে রাশিয়ার হাতে নিজেদের ভূখণ্ড তুলে দেওয়ার বিপক্ষে জেলেনস্কি।
এ বিষয়েও আজ ফক্স নিউজ ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিল। সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, গতকালের বৈঠকে জেলেনস্কিসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ‘ভূখণ্ড বিনিময়’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন তাদের জীবন ফিরে পেতে যাচ্ছে, তারা অনেক ভূখণ্ড ফিরে পেতে যাচ্ছে। তবে এটি একটি যুদ্ধ। মানুষ পছন্দ করুক আর না–ই করুক, রাশিয়া সামরিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশ।’
বিবিসি