গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাশিমপুর এলাকার সাতটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সব কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের এজেন্ট রয়েছেন। তবে কোনো কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এজেন্ট নেই।
কাশিমপুর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডে এম.ই.এইচ আরিফ কলেজের দুটি এবং এমএ কুদ্দুছ উচ্চবিদ্যালয়ের পাঁচটি কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এই সাত কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৪০টি।
৭১ নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার জাকির হোসেন জানান, এই কেন্দ্রে ৯টি বুথ। এখানে নৌকা ও গণফ্রন্ট ৯ জন করে এজেন্ট দিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এজেন্ট রয়েছে ৮ জন। জাতীয় পার্টির একজন এজেন্ট রয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কোনো এজেন্ট নেই।
কাশিমপুর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের দুই কেন্দ্র ১২টি বুথ রয়েছে। এর সবগুলোতে নৌকার এজেন্ট রয়েছে। তবে এখানেও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের কোনো এজেন্ট নেই।
এই সাত কেন্দ্রে জায়েদা খাতুন কোনো এজেন্ট দিতে পারেননি বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। প্রিসাইডিং অফিসার জাকির হোসেন বলেন, টেবিল ঘড়ি বা অন্য কোনো প্রতীকের কোনো এজেন্টকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যারা এজেন্ট দিয়েছেন তাদের এজেন্ট আছেন। এজেন্ট না দিলে তো সেটা আমাদের বিষয় নয়।
সকাল থেকে এসব ভোটারদের বেশ ভালো সাড়া দেখা গেছে। বেলা ১২টা ২০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রের বাইরে পরিবেশ ভালো দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি দেখা যায়নি। ভোট কেন্দ্রের সামনে পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি নারী ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা গেছে। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে অপেক্ষা করছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটার খড়া কেটেছে। বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেলেও গাজীপুরে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গাজীপুর দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন। ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। কেন্দ্র ৪৮০ এবং ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি। এর পর আরও চার সিটির ভোট থাকলেও কোনোটিরই গাজীপুরের ভোটার সংখ্যার কাছাকাছি নেই।