তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী, থার্টি ফার্স্ট নাইটের সন্ধ্যার আগে থেকেই ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত ব্যক্তিদের চলে যাওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। এতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যেই অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে টিএসসি এলাকা।
টিএসসির চায়ের দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোও সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। ফলে এসব দোকানকে কেন্দ্র করে বহিরাগত মানুষের যে আড্ডা জমে, তা এখন নেই। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টিএসসি ভবনের ফটকগুলোও। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। রয়েছে টিএসসি এলাকায় পুলিশের অবস্থান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
সাড়ে ছয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টিএসসি এলাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনের কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়েনি।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পর বহিরাগত কেউ বা কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে ঢুকতে হবে। তবে পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে হেঁটে ঢোকা যাবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোথাও আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো যাবে না। কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গানবাজনা করা নিষিদ্ধ থাকবে, নিষিদ্ধ থাকবে ডিজে পার্টিও।
ঢাবির প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সন্ধ্যায় বলেন, ‘ক্যাম্পাস যখন উন্মুক্ত থাকে, তখন সবাই আসেন। কিন্তু আজ নির্ধারিত, দায়িত্বপ্রাপ্ত ও স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া বহিরাগত যেকোনো গাড়ি নিয়ে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করেছি।’
প্রক্টর আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্যাম্পাসের কয়েকটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেবে। শাহবাগ, নীলক্ষেত, উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল টাওয়ার ও দোয়েল চত্বরে চেকপোস্ট থাকবে। পলাশীর সড়ক উন্মুক্ত থাকবে। এ ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের দেওয়া নির্দেশনাগুলোও কার্যকর থাকবে।