সন্ধ্যায় বড় দুই দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

0
16
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশে চলমান পরিস্থিতিতে বড় দুই দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যার পর দুইটি দলকেই তিনি ডেকেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। তবে শুরুতে অনিশ্চিয়তা থাকলেও পরে বৈঠকে আসবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপি এবং রাত সাড়ে ৮টায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তার বাসভবন যমুনায়।

আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, সাড়ে ৭টায় সাক্ষাতের সময় আমাদেরকে জানানো হয়েছে।

অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দেশে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে সময় চেয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের রাতে সাক্ষাতের সময় জানানো হয়েছে।

আজকের এ বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দেবেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলের অবস্থান জানান দেওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাপ ছড়াতে থাকে। এরপরপরই ‘প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ভাবনা’ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করে গণমাধ্যমকে এমন কথা জানান ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টি (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম। এ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়ায়।

গতকাল প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব তার ফেসবুকে পেজে জানান, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদও জানান, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায় না। তবে তিনি থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে জনগণ।

এদিকে, অধ্যাপক ইউনূস বেশ কিছু কারণে বিরক্ত হয়ে পদত্যাগের চিন্তা করেন। এমনটাই জানিয়েছে একাধিক সূত্র। এর মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেনাপ্রধানের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ বাড়িয়ে কথা বলা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তি নিয়ে একাংশের কর্মকর্তাদের আন্দোলনে বন্দরে ব্যবসায়ীরা হয়রানির স্বীকার, সবশেষে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় সড়ক অবরোধ এবং একজন উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্ট ও কিছু কর্মকাণ্ডে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য অন্যতম।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.