ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণি। ভালোবেসে অভিনেতা রাজকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাস পাঁচেক হলো শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে পরীমণির।
পরী-রাজের ঘরে আছে সন্তান রাজ্য। বিচ্ছেদের পর রাজ্যের কোন খোঁজ নেননি রাজ। এমনকি রাজ্য অসুস্থ হলেও খোঁজ নেননি ছেলের। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেছেন পরীমণি।
রাজকে নিয়ে পরী বলেন, আমার মনে হয় এটা সবার জানা উচিত। যে নিজের সন্তানের কোনো দায়িত্ব বহন করে না, কিন্তু আমার বাচ্চা বলে বেড়ায় তাকে আমি ছেড়ে দেব না। যারা মা, তারা নিশ্চয় বুঝতে পারবেন আমি কোন জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি।
এই নায়িকা আরও বলেন, সে এখন পর্যন্ত আমার বাচ্চার একটা খোঁজখবর নেয়নি। আমার বাচ্চার খোঁজখবর ও কেন নেবে? এটা তো আমার বাচ্চা। আমার বাচ্চার খোঁজখবর এবং দায়িত্ব প্রথম থেকে আমিই নিয়েছি এবং আমারই থাকবে। এটার জন্য আর কাউকে দরকার নেই। আমি আর কারও নামই উচ্চারণ করতে চাই না। এই নামটার সঙ্গে এখন আর আমার কোনো রাগ, ক্ষোভ, অভিমান ছাড়া কিছুই নেই। ভালোবাসা, সম্মান তো দূরের কথা, কিছুই নেই।
অভিনেত্রী বলেন, যে মানুষটা আমার বাচ্চার বাবা তাকে আমি কোনোভাবেই অসম্মানিত করতে চাই না। কিন্তু যতটুকু অসম্মান তার প্রাপ্য সেটুকু আমি করব, সেটা থেকে তাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সেই অসম্মানটা পুরো দুনিয়া না, আমি তাকে করব। কারণ, সে এটা ডিজার্ভ করে।
কিছুদিন আগে পরীমণির ছেলে রাজ্য বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সন্তানের চিকিৎসার জন্য পরীমণি বাংলাদেশ-ভারত করলেও রাজ শুধুমাত্র ছেলেকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দায় সেরেছিলেন। এ নিয়ে পরীকে প্রশ্ন করা হয়, কিছুদিন আগে যখন সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় ছিলেন, তখন শরিফুল রাজ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে পদ্মকে নিয়ে। বিষয়গুলো কীভাবে দেখেন?
উত্তরে পরী বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস ছিল আমার বাচ্চার জন্য এবং আমার জন্য। কারণ, এই স্ট্যাটাসটা না দিলে তো আমার বাচ্চা ভালোই হতো না। আমরা খুব উপকৃত হয়েছিলাম (হাহাহা)।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর।