সড়কের ওপর পড়েছিল সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত লাশ

0
124
মনজুরুল ইসলাম

বগুড়ার আদমদীঘিতে মনজুরুল ইসলাম (৪৯) নামে এক সাংবাদিকের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১১টার দিকে মুরইল বাজারের জয় ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে নওগাঁ-বগুড়া সড়কের ওপর মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মনজুরুল দৈনিক ভোরের কাগজ-এর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। তিনি আদমদীঘি উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের মরহুম মোহাম্মাদ আলী মাস্টারের ছেলে এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মনজুরুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন নাকি কেউ তাকে হত্যা করে সড়কে ফেলে গেছে, তা নিয়ে পরিবার ও সহকর্মী সাংবাদিকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মনজুরুল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রামে একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে মোটরসাইকেলে করে তার এক আত্মীয়কে দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে রেখে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রাত ১১টার দিকে এই ঘটনার শিকার হন। স্থানীয়রা সড়কের ওপর মনজুরুলের দ্বিখণ্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তার দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে পড়ে ছিল।

সাংবাদিক মনজুরুলের ভাই মোশাররফ হোসেন জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যজনক। সে সড়ক দুর্ঘনায় মারা গেছে নাকি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে নিহত হয়েছে, সে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান তিনি।

আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও দেহ সচরাচর দ্বিখণ্ডিত হয় না। এ ছাড়া তার শরীরের জামাকাপড় ও মাথার হেলমেট অক্ষত অবস্থায় ছিল। তার মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে, সেটি কেউ বিশ্বাস করছে না। তিনি পুলিশকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের দাবি জানান।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, মনজুরুলের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.