কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীভা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সোমবার (১০ জুন) কলকাতার ফরেনসিক বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাংসগুলো এমপি আনারের কি না।
এর আগে, গত ২৮ মে সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তবে সেটি এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস নাকি কোনো প্রাণীর তা তখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সিয়াম হোসেনকে নিয়ে রোববার (৯ জুন) সকালে কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। তবে সেগুলো আনারের কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।
অভিযোগ রয়েছে, গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়।