
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্নমত জানালে প্রস্তাব সংশোধন করে আবার উপস্থাপনের চেষ্টা করছে কমিশন।
আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে আসার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, দলগুলো যেহেতু কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকে জোর দিচ্ছে, তাই কমিশন চেষ্টা করছে দলগুলোর সঙ্গে থাকার।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম আলোচনার শুরুতে এ কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজকের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও নারী প্রতিনিধিত্ব।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সে বিষয়গুলো দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় আনেনি কমিশন।
ঐকমত্যের স্বার্থে কমিশনের নমনীয় অবস্থান ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব করলে ভিন্নমত জানায় অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। পরে এ প্রস্তাবকে সংশোধন করে আবার উপস্থাপন করে করা হয়।
রাষ্ট্রের মূলনীতির প্রস্তাবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় কমিশনের পক্ষ থেকে বহুত্ববাদের প্রস্তাবে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের আপত্তি ছিল। তাই পরবর্তী সময়ে কমিশন এ প্রস্তাব আর রাখেনি।
ঐকমত্যের আলোচনা শেষ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ, যত বেশি সম্ভব আলোচনায় অংশ নিয়ে অমীমাংসিত আলোচনা সম্পন্ন করবেন।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় আরও উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মো. আইয়ুব মিয়া।