গলে কাল ৫ উইকেটে ২২১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। ৬৯ রানে সৌদ শাকিল ও ৬১ রানে আগা সালমান অপরাজিত ছিলেন। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল, আজ তৃতীয় দিনে এই জুটির মধ্যে কেউ টিকে গেলে ভুগতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। ঘটলও ঠিক তা-ই।
সৌদ শাকিলের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসেই ১৪৯ রানের লিড নিয়ে ৪৬১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৪ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে। পাকিস্তানের চেয়ে এখনো ১৩৫ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা।
সকালের সেশনে আগা সালমানকে (৮৩) তুলে নেন রমেশ মেন্ডিস। তাতে সৌদ শাকিল এবং তাঁর ১৭৭ রানের জুটি ভেঙে যায়। এরপর নোমান আলীর সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়া শাকিল টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ১২৯ বলে। সেটাই পরে ডাবল বানিয়ে রেকর্ড গড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার। শ্রীলঙ্কার মাটিতে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি।
৩৬১ বলে ২০৮ রানের ইনিংস খেলা পাকিস্তানি ওপেনারকে শ্রীলঙ্কার বোলাররা আউট করতে পারেননি। রেকর্ড গড়ার পথে ২০১২ সালে কলম্বো টেস্টে মোহাম্মদ হাফিজের ১৯৬ রানের ইনিংসকে পেছনে ফেললেন শাকিল। টেস্টে পাকিস্তানের ২৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির পথে আরও একটি কীর্তি গড়েছেন শাকিল। মাত্র ৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ১১তম ইনিংস। পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানই টেস্টে ১১তম ইনিংস পর্যন্ত এসে শাকিলের মতো এত রান (৭৮৮) করতে পারেননি। এর আগে ১১তম ইনিংস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান ছিল আবদুল্লাহ শফিকের (৭২০)।
পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের বিরক্তি বাড়িয়েছেন শাকিল। পেসার নাসিম শাহকে নিয়ে নবম উইকেটে ২৪৩ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়েন শাকিল। এই জুটিতে শাকিলের অবদান ১৬৫ বলে ৭০, আর নাসিম ৭৮ বলে ৬ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন।
আবরার আহমেদের সঙ্গে দশম উইকেটেও ২৭ বলে ২১ রানের জুটি গড়েন সৌদ। ২০২১ সালের ৮ মে আবিদ আলীর পর শাকিলের সৌজন্যে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি দেখল পাকিস্তান ক্রিকেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৩৬ রানে ৫ উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস।