পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণে জোরালো পদক্ষেপ ইসরায়েলের

0
109
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাত গিভাত জিভ অঞ্চলে ইসরায়েলের স্থাপন করা বসতি। ছবিটি ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর তোলা

অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজারো বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী সরকার। গত রোববার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে বসতি স্থাপনে ছয় ধাপের যে প্রক্রিয়া ২৭ বছর ধরে অনুসরণ করে আসা হচ্ছিল, তা উপেক্ষা করা যাবে। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচকে এই বসতি স্থাপন ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার ইমরান খান বলেছেন, এভাবে বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের ব্যত্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশে ৪ হাজার ৫৬০টি বসতি নির্মাণ করা হবে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বসতি স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখব এবং ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করব।’

পশ্চিম তীর হয়তো শিগগিরই পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে—বিভিন্ন মহল থেকে এমন আশঙ্কা জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বসতি স্থাপনের এই কর্মকাণ্ড ‘পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি দখলের প্রক্রিয়া ভয়ংকর দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পদক্ষেপ।’

এই পদক্ষেপের জেরে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে বলে জানিয়েছে ২০০৭ সাল থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস। আর ফাতাহ সতর্ক করে বলেছে, ‘যেভাবে গাজা থেকে বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, একইভাবে পশ্চিম তীর থেকে সরানো হবে।’

আজ সোমবার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের যৌথ অর্থনৈতিক কমিটির বৈঠকের সূচি নির্ধারিত হয়ে আছে। ফিলিস্তিন জানিয়েছে, তারা এ বৈঠকে যোগ দেবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.