তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে ওঠে অঘোষিত ফাইনাল। এই ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে দুই দল। কিন্তু শেষ হাসিটা হেসেছে আফগানিস্তান। দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আফগানরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে ২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে রশিদ-নবীরা।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং সেদিকুল্লাহ আতাল। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। অষ্টম ওভারে চতুর্থ বলে সেদিকুল্লাহকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার গুরবাজ। রহমত শাহ (৮) এবং হাশমতুল্লাহ শহীদি ৬ রানে আউট হলেও ৬০ বলে ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ। আজমতুল্লাহ ওমারজাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে টানতে থাকেন তিনি।
১১৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেন গুরবাজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আজমতুল্লাহ। তবে সেঞ্চুরি তোলার পর পিচে টিকতে পারেননি গুরবাজ। ১০১ রান করে মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। এরপর গুলবাদিন নাইব ১ রানে আউট হলেও ৫৯ বলে ফিফটি তুলে নেন আজমতুল্লাহ।
সপ্তম উইকেটে নবীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন আজমতুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নবীর ৩৪ রান এবং আজমতুল্লাহ ৭৭ বলের অপরাজিত ৭০ রানে ইনিংসে ভর করে ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান এবং নাহিদ রানা। এ ছাড়াও এক উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল দুই টাইগার ওপেনার। তবে সৌম্য সরকার (২৪) ও তামিম (১৯) ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হলে দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দুজনের ব্যাটে ভর করে ২৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর মিরাজ করেন ৬৬ রান।