হোয়াইট হাউসের কাছে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, পুলিশ বলছে ‘ইচ্ছাকৃত’

0
123
পুলিশ ওই কাভার্ড ভ্যান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে

যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসের বিপরীত পাশের একটি পার্কের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, চালক ইচ্ছা করে কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ধাক্কা দিয়েছেন।
সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি এক বিবৃতিতে বলেন, গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে লাফিয়েট স্কয়ার পার্কের উত্তর পাশসংলগ্ন নিরাপত্তাবেষ্টনীতে কাভার্ড ভ্যানটি সজোরে ধাক্কা দেয়। চালকের নাম সাই ভারশিথ কান্ডুলা। বয়স ১৯ বছর। তিনি মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুই কাউন্টির চেস্টারফিল্ড শহরের বাসিন্দা।

ক্রিস জাবোজি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, চালক কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ে অন্তত দুবার নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ধাক্কা দেন।

লাফিয়েট স্কয়ারের কাছে দৌড়াচ্ছিলেন উল্লেখ করে জাবোজি বলেন, হঠাৎ ইউ-হল নামের এক যানবাহন ভাড়া দেওয়ার কোম্পানির ট্রাকটির (কাভার্ড ভ্যান) নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ধাক্কা খাওয়ার শব্দ শুনতে পান তিনি। কাভার্ড ভ্যানটি দ্বিতীয়বার নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ধাক্কা দেওয়ার মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধারণ করতে পেরেছেন বলে জানান জাবোজি।

ঘটনার পর সিক্রেট সার্ভিস ও মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা কাভার্ড ভ্যানটিতে তল্লাশি চালিয়েছেন। ডব্লিউইউএসএ-টিভিতে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, এক পুলিশ কর্মকর্তা ওই কাভার্ড ভ্যান থেকে নাৎসি পতাকাসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন।

সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র গুগলিয়েলমি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, চালক ইচ্ছাকৃতভাবে লাফিয়েট স্কয়ারের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আঘাত করে থাকতে পারেন।

এর উদ্দেশ্য কী হতে পারে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্ক পুলিশ বলছে, কান্ডুলার বিরুদ্ধে কয়েক ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও অনুপ্রবেশ।

আদালতের নথি অনুযায়ী, কান্ডুলার জন্য কোনো আইনজীবীকে নিযুক্ত করা হয়নি। সরকারিভাবে সংরক্ষিত তথ্যে তাঁর কয়েকটি টেলিফোন নম্বর রয়েছে। তবে এগুলোর কোনোটিই সচল নেই। তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

হোয়াইট হাউসের খুব কাছে অবস্থিত লাফিয়েট স্কয়ার পার্কটিকে বিভিন্ন সময়ে মার্কিন নাগরিকেরা বিক্ষোভস্থল হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। মিনিয়োপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পার্কটি প্রায় এক বছর বন্ধ রেখেছিল কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালের মে মাস থেকে এটি আবার খুলে দেওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.