যেকোনো টুর্নামেন্টে ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজমানিতেও চোখ থাকে দলগুলোর। শিরোপা জেতা মানে বিশাল অঙ্কের অর্থ পুরস্কারের হাতছানি। তবে ক্লাব বিশ্বকাপ অর্থ পুরস্কারের দিক থেকে অন্য রকম এক দৃষ্টান্তই যেন স্থাপন করছে। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ, ম্যাচ ড্র করা এবং জেতার জন্যও দলগুলো পাচ্ছে আলাদা আলাদা অর্থ পুরস্কার।
এমনকি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারা বা খুব বেশি দূর যেতে না পারা দলগুলোও ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে নিয়ে যেতে পারবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি যেমন শেষ ষোলোতেই উঠেই নিশ্চিত করেছে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৬ কোটি টাকার বেশি। টুর্নামেন্টে আরও সামনে যেতে পারলে এই অঙ্ক বাড়তেই থাকবে।
ইন্টার মায়ামির অ্যাকাউন্টে যোগ হওয়া এই অর্থের ৯০ লাখ ৫৫ হাজার ডলার বা ১১৬ কোটি টাকা এসেছে কেবল অংশগ্রহণ ফি হিসেবে, যা টুর্নামেন্ট শুরু আগেই মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবগুলোর জন্য নির্ধারণ করা ছিল।
এর বাইরে গ্রুপ পর্বে আল আহলি ও পালমেইরাসের বিপক্ষে ড্রয়ের জন্য ১০ লাখ ডলার বা ১২ কোটি টাকা করে এবং পোর্তোর বিপক্ষে জয়ের জন্য ২০ লাখ ডলার বা ২৪ কোটি টাকা পেয়েছে তারা। আর শেষ ষোলোয় গিয়ে তারা নিশ্চিত করেছে আরও ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ৯১ কোটি টাকা। যোগ করলে এই টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।

টাকার এই অঙ্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে মায়ামির। সে জন্য তাদের এখন কোয়ালিফাই করতে শেষ আটে। যদিও কাজটি কঠিনই হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হবে মেসির মায়ামিকে টপকাতে হবে ইউরোপ–সেরা পিএসজির বাধা।
তবে কঠিন এই পথ অতিক্রম করতে পারলে মায়ামির অ্যাকাউন্টে যোগ হবে আরও প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। এখন অর্থের এই হাতছানিতে সাড়া দিয়ে পিএসজির বিপক্ষে মেসিরা দারুণ কিছু করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।