‘ইউনিফর্মের আড়ালে একজন পুলিশ অফিসারের বাস্তব জীবনের আমি সাক্ষী হয়েছিলাম’

0
100
সানিয়া মালহোত্রা, ইনস্টাগ্রাম

এক বিধায়কের বাসা থেকে এক জোড়া কাঁঠাল চুরি গেছে। আর এই কাঁঠালচোর আর চুরি যাওয়া কাঁঠাল খুঁজে বের করার দায়িত্ব পান পুলিশ অফিসার মহিমা। কাঁঠাল জোড়া খুঁজে বের করতে রীতিমতো হিমশিম খান মহিমা।

সানিয়া মালহোত্রা, ইনস্টাগ্রাম

এই হচ্ছে হাসির ছবি ‘কাঁঠাল’-এর কাহিনি। নবাগত পরিচালক যশবর্ধন মিশ্রা পরিচালিত ছবিটি ১৯ মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে।

মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে গত বৃহস্পতিবার ছবির ট্রেলার মুক্তির আয়োজনে সানিয়া মালহোত্রা
মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে গত বৃহস্পতিবার ছবির ট্রেলার মুক্তির আয়োজনে সানিয়া মালহোত্রাএএফপি

ছবিতে পুলিশ অফিসার মহিমার চরিত্রে অভিনয় করছেন সানিয়া মালহোত্রা।

মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে গত বৃহস্পতিবার ছবির ট্রেলার মুক্তির আয়োজনে সানিয়া মালহোত্রা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছবির মূল দুই অভিনেতা রাজপাল যাদব আর অনন্ত ভি জোসি।

ট্রেলার মুক্তির পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘কাঁঠাল’ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে সানিয়া বলেন, ‘“পাগলেট” ছবির পরপরই (প্রযোজক) গুণিত আমাকে জুম কলে এক লাইন শুনিয়েছিলেন।

সানিয়া মালহোত্রা
সানিয়া মালহোত্রা, ইনস্টাগ্রাম

শুনেই আমার দারুণ লেগেছিল। মনে হয়েছিল “পাগলেট”-এর পর মজার কিছু পেয়েছি। এরপর (পরিচালক) যশ আমাকে ছবির পুরো গল্প শুনিয়েছিলেন। আমি খুব খুশি এই চরিত্রে অভিনয় করে। আর এটাকে এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ আজ অবধি কোনো পুলিশের সঙ্গে আমার সেভাবে পরিচয় হয়নি।’

নিজের অভিনীত চরিত্রটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতির সময় একজন পুলিশের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।

সানিয়া মালহোত্রা
সানিয়া মালহোত্রা, এএনআই

পুলিশ স্টেশনে তাঁর ঘরের এক কোনায় বসে তাঁকে লক্ষ করতাম। দেখতাম যে কীভাবে তিনি নানা কেসের সমাধান করছেন। এমনকি বাড়ির সমস্যা কীভাবে সামলাতেন, সেটাও দেখতাম। কারণ ঘরে তাঁর শিশুসন্তান ছিল। ইউনিফর্মের আড়ালে একজন পুলিশ অফিসারের বাস্তব জীবনের আমি সাক্ষী হয়েছিলাম। এই ছবিতে একজন পুলিশের বাস্তব কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের বলিউড ছবিতে এসব দেখানো হয় না। শুধু দেখানো হয় পুলিশমাত্রই কীভাবে মারধর করছে বা গাড়ির সামনে বসে ছুটছে!’

সানিয়া মালহোত্রা, ইনস্টাগ্রাম

পর্দায় ‘মহিমা’ হয়ে উঠতে সানিয়াকে আঞ্চলিক ভাষা শিখতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে বিশেষ একটা অঞ্চলের ভাষা রপ্ত করতে হয়েছে। শেখাটা বেশ কঠিন ছিল। এ ব্যাপারে (সহশিল্পী) নেহা আমাকে সাহায্য করেছে। তার আগে আমি রীতিমতো হাতড়াচ্ছিলাম। কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তবে নতুন এই ভাষা শিখে দারুণ মজা পেয়েছি। এখনো আমি এর থেকে বের হতে পারিনি। এই ছবিতে অভিনয়ের পর মনে হচ্ছে আমার অভিনয় ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ বৃত্ত হয়ে গেছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.