শুল্ক প্রত্যাহারের পর হিলিবন্দর দিয়ে চাল আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি করা চালের দাম পড়বে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। যোগাযোগ চলছে ভারতের রফতানিকারকদের সাথে।
রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে, দুই দফায় শুল্ক কমিয়ে আনায় প্রতি কেজি চাল আমদানির ব্যয় কমবে ২৫ টাকা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির প্রক্রিয়া পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। বর্তমানে খাদ্য বিভাগ থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর আইপি নিয়ে চালু করতে হয় এলসি। এতে কালক্ষেপণ হচ্ছে।
মূলত, চালের বাজার বেসামাল হওয়ায় মজুদ বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রনে আনতে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপরই চাল আমদানির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। আমদানির বরাদ্দ চেয়ে খাদ্য বিভাগে আবেদন করছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারত সরকার প্রতি টন চালের নূন্যতম রফতানি মূল্য ৪৯০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। অথচ দেশটির বাজারে প্রতি টনের দাম পড়ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ ডলার।
আমদানিকারক মোস্তাফিজার রহমান বললেন, সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত সরকার। তারা এমনভাবে ট্রেড পলিসি ঠিক করেছ, যারা নূন্যতম দাম লিখে দিছে ৪৯০ ডলার। কিন্তু স্বর্ণা চালের দাম তো এত না।
আমদানিকারক কাউসার রহমান বলেন, ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে তারা যদি অটল থাকে, তাহলে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবো। আমরা চাল আমদানি করবো ৩৬০ ডলারে, আর আমরা এলসি করবো ৪২০, ৪৪২ ডলারের, তাতে অতিরিক্ত ডলার চলে যাবে। সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক সমস্যা দেখা দেবে।
চালের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০ অক্টোবর আমদানি শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এরপর ৩ নভেম্বর চাল আমদানির ওপর অবশিষ্ট আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে এনবিআর। অগ্রিম আয়কর হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।