সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, জুলাইয়ে আ.লীগ প্রতিনিধি দলের

0
98
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের - ফোকাস বাংলা

জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আগামী সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যেতে পারেন। বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে আগামী জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে যাচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-টোয়েন্টিতে যোগ দিতে আবার সম্ভবত সেপ্টেম্বরে ভারতে যাবেন। এর পাশাপাশি দলের সঙ্গে দলের যোগাযোগের অংশ হিসেবে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি আমন্ত্রণ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে। আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল যাবে।

দলীয় এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পার্টি টু পার্টি কনট্যাক্ট দরকার, পিপল টু পিপল কনট্যাক্টকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য, সেতুবন্ধনের জন্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাত্তরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রচিত হয়েছিল, তা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অবিশ্বাস আর সন্দেহে রূপ নেয়। কিন্তু ওই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যদি অব্যাহত রাখতে পারতাম, আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি হয়নি। হয়নি বলে অবিশ্বাস-সন্দেহের একটি দেয়াল তৈরি হয়েছিল, যেটা ভাঙা দরকার ছিল। সেটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেঙেছেন।

দুই দেশের মধ্যকার অনেকগুলো অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হলে আলাপ-আলোচনা করে সবকিছু সমাধান সম্ভব। আমরা সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে সন্ত্রাসবাদ চলত, সেটি বন্ধ হয়েছে। একইভাবে ভারতও কোনো সুযোগ দিচ্ছে না। তারাও এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ- যেটা দুই দেশের মধ্যে ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসত, সেটা আর হচ্ছে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের স্বার্থেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মুখ দেখাদেখি বন্ধ এবং সম্পর্ক নষ্ট করলে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারব না। ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে থাকব।

বাংলাদেশে ভারতের আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ভারত সেভাবে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশের দূরে যাওয়ার দরকার নেই। সড়ক ও রেল- এই দুই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি অনেক এগিয়ে গেছে। এই ট্রানজিট সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে উভয়ই লাভবান হচ্ছি। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই বাংলাদেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে।

নভেম্বরের মধ্যে ভারত থেকে ১০০টি বৈদ্যুতিক দ্বিতল এসি বাস আনার কথা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফোডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক এবং ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.