আলী ইমামের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তানভীর ইমাম জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মরদেহ আজ রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে রাখা হবে। কাল মঙ্গলবার জানাজা ও দাফন করা হবে।
আলী ইমাম ১৯৫০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সপরিবার তিনি থাকতেন ঢাকার ঠাটারীবাজারে। তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে পুরান ঢাকার ওয়ারী, লিঙ্কন রোড, নয়াবাজার, নওয়াবপুর, কাপ্তানবাজার, ফুলবাড়িয়া এলাকায়। লেখালেখি ছাড়াও অডিও ভিজ্যুয়াল ব্যবস্থাপক হিসেবেও তিনি কাজ করতেন। আলী ইমাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে ২০০৬ সালে অবসরে যান। তিনি ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০১২ সালে তিনি শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।
শিশুসাহিত্য ছাড়াও তিনি গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনি, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সোনালী তোরণ (১৯৮৬), আলোয় ভুবন ভরা (১৯৮৭), দুঃসাহসী অভিযাত্রী (১৯৮৮), সেসুলয়েডের পাঁচালী (১৯৯০), রক্ত দিয়ে কেনা (গল্প ১৯৯১)। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ধলপহর (১৯৭৯), হিজল কাঠের নাও (১৯৮৬), তোমাদের জন্যে (১৯৯৪)। শিশুসাহিত্য রয়েছে দ্বীপের নাম মধুবুনিয়া (গল্প, ১৯৭৫), অপারেশন কাঁকনপুর (উপন্যাস, ১৯৭৮), তিরিমুখীর চৈতা (রহস্য উপন্যাস, ১৯৭৯), রুপোলী ফিতে (গল্প, ১৯৭৯), শাদা পরী (গল্প, ১৯৭৯)। কিশোর উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে রক্তপিশাচ তিতিরোয়া (১৯৮৬), ভয়াল ভয়ঙ্কর (১৯৮৭), নীল শয়তান (১৯৮৭), ভয়ঙ্করের হাতছানি (১৯৯০), রক্তপিশাচ (১৯৯০), ইয়েতির চিৎকার (১৯৯০), নীল চোখের ছেলে (১৯৯২)।