ঢালিউডে যতগুলো সংগঠন রয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। বাংলা ছবি আবেদন হারালেও হারায়নি সমিতি। সংগঠনটির কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ ঝোঁক মানুষের। শনিবার (২ মার্চ) বেশ আয়োজন করে পালিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজন। তবে বেশকিছু বিতর্কও হয়েছে। ছড়িয়েছে একটি হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও।
৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক কিশোরীর সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন একজন। এরপরই পরিস্থিতি মোড় নেয় ঝগড়ায়। দুইজনের বাকবিতণ্ডায় শেষ পযন্ত ঝগড়া পৌঁছায় হাতাহাতিতে। এতে এফডিসিতে থাকা শিল্পী সমিতির পিকনিকে উপস্থিতরা ঝগড়া ও হাতাহাতি ঠেকাতে এগিয়ে আসেন। তবে ঠিক কী কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানা যায়নি।
এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরী মা বলেন, আমার বাচ্চা এমন একটি জায়গায় অসম্মানিত হবে সেটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমার মনে হয় না শিল্পী সমিতি এবিষয়ে কোন উদ্যোগ নিবে। আমার সিনেমা দরকার নেই, আমার বাচ্চা আগে। আমি ভুলে যাবো আমার সিনেমার ক্যারিয়ারের ২২ বছর। শিল্পী সমিতির কাছে আমার কোন প্রত্যাশাই নেই। কারণ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমি নিপুণকে কল দিলাম কিন্তু সে কল ধরলো না। এখন শিল্পী সমিতি কোন ব্যবস্থা না নিলে আমি নিজেই আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বনভোজন মানেই জাঁকজমক আয়োজন। বিগত দিনে এমন চিত্র দেখা গেলেও দুই বছর ধরে দেখা যাচ্ছে তার বিপরীত চিত্র। সদ্য সমাপ্ত রঙিন পর্দার তারকাদের বনভোজন ছিল সাদাকালো। ক্রমশ জৌলুস হারাচ্ছে শিল্পী সমিতির আয়োজন। তারকাদের বনভোজন এবারও ছিল তারকাশূন্য।
এদিকে খাবার পরিবেশনে অব্যবস্থাপনার ছাপ উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। এতে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করলেও কেউ কেউ ফিঁসফাঁস করেছেন আরেকটু যত্ন পাবার আশায়। এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তবে মূল ঘরানার ব্যস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের না দেখে অনেকেই হতাশ হন। অভিযোগ ওঠে অনেকের দাওয়াত না পাওয়ার ব্যাপারেও। তাদের একজন দুই মেয়াদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েও চেয়ারে বসতে পারেননি তিনি। জায়েদ খান অভিযোগ করেছেন- দাওয়াত পাননি। তবে অন্য অনেকেই দাওয়াত পেলেও আসেননি, যদিও এর কারণ জানা যায়নি।
এ আয়োজনে সমিতির সদস্যদের দেখা না গেলেও অচেনা মানুষদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল পিকনিক স্পট। ঢাকাই চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির পিকনিক তার নিজস্বতা হারিয়েছে, গেল বছর শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন কেন্দ্র করে কথাগুলো বলেছিলেন চিত্রনায়িকা নূতন। ক্রমশ তার কথা বাস্তবায়ন হতে দেখা যাচ্ছে।