বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত

0
73
পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে।

সোমবার (৪ মার্চ) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ডিজিএফটি। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ভোক্তা বিষয়ক বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও দেশটির সরকার কিছু বন্ধু রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় মার্চের শেষ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। ওই সময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।

বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন ক্রেতা বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয় দেশটি থেকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.