ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, সূর্যসেন হল ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে যান। সেখানে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথাগুলো বলেন। এ সময় সহ–উপাচার্য চ্যান্সেলর (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়ের সময় নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে এবং ধাপে ধাপে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ করছে এবং জাতি গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য। এ স্বেচ্ছাসেবা সারা বছর চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে।
উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান আরও বলেন, প্রতিটি হলে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা, শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া, যত্রতত্র দোকানপাট নিয়ন্ত্রণ করা, অভ্যন্তরীণ পরিবহনব্যবস্থা গতিশীল করা, হলের আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন ভবন নির্মাণ করা এবং খাবারের মান বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন প্রস্তাব ও মতামত তুলে ধরেন।