শিক্ষামন্ত্রীর আয় বেড়ে ৪১ গুণ

0
144
দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তাঁর আয় বেড়ে ৪১ গুণ হয়েছে। নিজ নামে অস্থাবর (টাকা, সঞ্চয়পত্র, সোনা ইত্যাদি) সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৯ গুণ।

দীপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদপুর–৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়।

দীপু মনি এবারও চাঁদপুর–৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে পেশা হিসেবে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে একটি মামলা ছিল, যা খারিজ হয়েছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে নিজের পেশা থেকে দীপু মনির আয় ছিল বছরে তিন লাখ টাকা। এবার তিনি তিনটি খাতে মোট আয় দেখিয়েছেন বছরে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় খাতে বিনিয়োগ থেকে তাঁর আয় তিন লাখ টাকার কিছু বেশি। মন্ত্রী হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা পান ২১ লাখ টাকার বেশি। অন্যান্য খাতে তিনি ৯৯ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন (আমানত ও সুদ, স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত)।

২০০৮ সালে দীপু মনির মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল নগদ। গাড়ির দাম তিনি দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা। ২৫ ভরি সোনা বাবদ তিনি ১ লাখ টাকা এবং আসবাব বাবদ ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।

২০২৩ সালে দীপু মনি মোট অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মূল্যের। এর মধ্যে নগদ রয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গাড়ির দাম ৬০ লাখ টাকা এবং সোনা ও অন্যান্য ধাতুর দাম ৯ লাখ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও আছে তাঁর কাছে।

২০০৮ সালে দীপু মনির কোনো ঋণ ছিল না। এখন তাঁর ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে দীপু মনির ৩টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি রয়েছে, যেগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি। ২০০৮ সালে তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.