শাহবাগে আগুন, ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল বিপদের কারণ

0
6
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন

রাজধানীর শাহবাগে ফুলের দোকানে লাগা আগুনের ঘটনাস্থলে ঝুলন্ত অবস্থায় লুজ বৈদ্যুতিক সংযোগ ও বেলুন ফোলানোর হাইড্রোজেন গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই আগুনের সূত্রপাত এবং গ্যাস সিলিন্ডার থেকে নির্গত গ্যাস আগুন ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।

শাহবাগে আগুন

তিনি বলেন, আগুনের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা দেখতে পেয়েছি, দোকানের বৈদ্যুতিক তারগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং সংযোগগুলো ছিল খুবই লুজ। ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে। শুরুতে পানি সমস্যার কারণে আমরা হেডকোয়ার্টার থেকে অতিরিক্ত তিনটি ইউনিট পাঠাই। ফলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি আমরা।

কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে বেলুন ফোলানোর জন্য ব্যবহৃত হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল, যেগুলো থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে বড় কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জেলার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন

তিনি বলেন, হাইড্রোজেন গ্যাস অত্যন্ত বিপজ্জনক। হিলিয়ামের তুলনায় সস্তা হওয়ায় অনেকেই হাইড্রোজেন ব্যবহার করে থাকেন। কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়েছিল, তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।

ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। দোকান মালিকদের এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া যাবে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে শাহবাগে টিনশেড একটি ফুলের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। খবর পাওয়ার ৮ মিনিট পর রাত ১০টা ১মিনিটে ঘটনাস্থলে প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। এরপর পলাশী ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট যুক্ত হয়ে কাজ করে। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং রাত ১১টা ২০ মিনিটে সম্পূর্ণভাবে নিভে যায়। আগুন নিভলেও সিলিন্ডারগুলো এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। তাই ওই এলাকা আপাতত জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.