‘এক আকাশের ছাদ’, ‘অপূর্ণতা’, ‘ওয়াদা’, ‘তোমায় আগলে থাকি’, ‘পারুল’—এবার ঈদে অনেক নাটক। সহশিল্পী বন্ধুদের নিয়ে থাইল্যান্ডে ঈদের ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন। এসব নিয়েই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘বিনোদন’–এর মুখোমুখি সাফা কবির
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় দেশে এসেছি। তার পর থেকে খুবই ব্যস্ত। এখন একটি দাওয়াতে এসেছি। কথা বলার মতো অবস্থা নেই। বলুন…
আমরা তো আসলে একসঙ্গে কাজ থাকলে বা দেখা হলে সেভাবে সময় নিয়ে আড্ডা দেওয়া হয় না। এ জন্য অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা ছিল, সময় করে ঘুরতে যাব। কিন্তু কারও সঙ্গে কারও শিডিউল মিলছিল না। অবশেষে সিয়াম, তৌসিফ, জোভান, টয়া, শাওন, তামিমসহ আমরা সবাই মিলে থাইল্যান্ড দেখে এলাম। সুখের বিষয়, এখানে কোনো কাজ ছিল না।
আগেও তো শুটিংয়ে থাইল্যান্ডে গেছেন…
আগে শুটিংয়ে গেছি। তখন বাড়তি কোনো সময় পেতাম না। পছন্দের জায়গায় ছবি তোলা হলো না, সমুদ্রে ঘুরতে পারলাম না, কফি খাওয়া হলো না, একটু গান শোনা হলো না—এসব নিয়ে খুবই আফসোস হতো। তখন আফসোস করে বলতাম, বড় হয়ে এই জায়গাগুলোতে আসব। এবার আগে থেকেই প্ল্যান করেছিলাম, পছন্দের জায়গাগুলোতে ঘুরব, মাইন্ড ফ্রেশ করব। কিন্তু সবাই একই পেশায় থাকার কারণে হয়ে উঠছিল না। এবার ব্যাটে–বলে মিলে গেছে। অবসরটা দারুণ কাটিয়েছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এবার আমাদের বন্ধুত্বের প্রায় ১০ বছর উদ্যাপন করলাম। আমাদের ট্যুর এতটাই ভালো হয়েছে যে আমরা সবাই সফল ট্যুর সেলিব্রেট করার জন্য ঢাকায় আবার এক হব। কারণ, আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।
শুনেছি, বন্ধুরা আপনাকে নিয়ে অনেক মজা করে…
সব সময়। এবারও গ্রুপ ছবিতে আমার চোখ বন্ধ। সেটা তারা পোস্ট করবে, এই নিয়ে আবার কত কী। বন্ধুদের মধ্যে অনেক মজা হয়। বন্ধুদের মধ্যে মজা–দুষ্টুমি না থাকলে কিসের বন্ধু। এগুলো নিয়ে অনেক হাসাহাসি হয়।
মিথ্যা বলা বারণ’ নাটকের একটি দৃশ্যে আপনি অনেক সময় অপেক্ষা করে অভিমানে চলে যান। তখন কালো গোলাপ দিয়ে আপনার মন ভালো করে দেন পর্দার নায়ক অপূর্ব। বাস্তবে কে অভিমান ভাঙান?
আমার অভিমান খুবই কম হয়। কারও ব্যবহারে মন খারাপ থাকলে তাকে বলে ফেলি। আমার আশপাশের মানুষেরা অনেক হেল্পফুল। তারা বললে বুঝতে পারে। অনেক সময় মানুষ আমাকে অনেক কিছু দিয়ে অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমি এসব জিনিসে পটে যাই না। আমি তখন চুপচাপ থাকি। আমার কাছে মনে হয়, কেউ যদি তোমার জীবনে ইমপর্টেন্ট হয়, সে তার সময়টা তোমাকে দেবে। আমাকে সময় দিলেই অভিমান ভেঙে যায়। কিন্তু আমি অভিমান করি না। আমি হাসিখুশি থাকি।
‘পারুল’ নাটকে বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া সংগ্রহ করতে দেখা গেল। চরিত্রটি নিয়ে মজার কোনো অভিজ্ঞতা আছে?
এখনো আমাদের সমাজে ছেলেদের দোষ ধরা হয় না। কিছু করলে মেয়েদের দোষ না থাকলেও দোষ হয়। পারুলের টিকে থাকার সংগ্রামগুলো নাটকে উঠে এসেছে। বাসভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া করেছি, যাত্রীদের অনেকেই উঠতে দেয়নি, শাপলা চত্বরে যাত্রীদের সঙ্গে দুই দিন ঝগড়া করেছি, কিন্তু কেউই বুঝতে পারেনি আমি সাফা। এবার কাজগুলো নিয়ে আমি খুব খুশি।
বাসের মধ্যে কী হয়েছিল?
আমি বাসের গেটে আওয়াজ করে যাত্রী ডাকছিলাম—এই ভাই আসেন, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মতিঝিল। বাসের হেল্পার, কন্ডাক্টররা যা করেন আর কি। পরে ভাড়া সংগ্রহ করি। অনেক সময় ভাড়া কম–বেশি নিয়ে ঝামেলা হয়। আমি হয়তো বলছি ২০ টাকা ভাড়া। যাত্রী বললেন, ১০ টাকা; এ নিয়ে তর্ক। আমাকে বলতে হচ্ছে, আপনি নেমে যান। যাত্রী বলছেন, আপনি কদিন কাজ করেন। ভাড়া ১০ টাকাই ইত্যাদি।