শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে ইসিতে এনসিপির আবেদন

0
65
এনসিপি

শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনের কমিশনের সিনিয়র সচিব বরাবর আবেদনপত্র পাঠায় দলটি।

চিঠিতে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে নানা ব্যাখ্যা তুলে ধরে দলটি। পাশাপাশি শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের কমিশনের ব্যাখ্যার বিপক্ষেও বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরা হয়।

আবেদনে বলা হয়, গত ২২ জুন এনসিপি নির্বাচন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। পাশাপাশি ‘শাপলা’ প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়। এরপর সারাদেশে মানুষ এনসিপির প্রতীক হিসাবে ‘শাপলা’কে চিনতে শুরু করে। জুলাই মাসে এনসিপি জুলাই পদযাত্রায় জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে খাল-বিল-জলাশয় থেকে শাপলা সংগ্রহ করে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। কিন্তু গত ৯ জুলাই নির্বাচন কমিশন শাপলাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে এনসিপি জানতে পারে।

তাতে আরও বলা হয়, এরপর ১৩ জুলাই এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে বৈঠক করে। সেই বৈঠকে শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইনানুগভাবে সঠিক নয় এবং এই বিষয়ে কমিশনের গৃহীত অবস্থানের আইনি ভিত্তি নেই বলে লিখিতভাবে জানানো হয়।

পরবর্তীতে এনসিপির অনুকূলে প্রতীক সংরক্ষণের ক্রম হিসাবে ১. শাপলা ২. সাদা শাপলা এবং ৩. লাল শাপলা উল্লেখ করে কমিশনকে চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠিতে শাপলা প্রতীক হিসেবে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন বা আংশিক ডিসটর্টেট ভার্সন গ্রহণের ক্ষেত্রে এনসিপি সবসময় আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু ইসি শাপলা প্রতীকের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার মিল রয়েছে বলে যুক্তি দেয়। যা বৈষম্যমূলক ও সেচ্ছাচারী।

গত ২৩ সেপ্টম্বর কমিশনের সিনিয়র সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার প্রতীক তালিকায় শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।

আবেদনপত্রের শেষে বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় কমিশন প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনসিপির অনুকূলে ১. শাপলা, ২. সাদা শাপলা, এবং ৩. লাল শাপলা থেকে যেকোন একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে বলে আশা করছি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন পূর্বের স্বেচ্ছাচারী ও একরোখা মনোভাব পরিত্যাগ করবে। যাতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন ও সকল দলের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ক্ষেত্রে কমিশনের আগ্রহ জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.