শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

0
14
মেহের আফরোজ শাওন

সৎ মা নিশি ইসলামের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহ এই আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য আসমিরা হলেন, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস ও মাইনুল হোসেন।

আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে রয়েছেন। বাকি ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। গত ২২ এপ্রিল পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় তিনি আগের স্ত্রীর কথা গোপন ও প্রতারণা করেন। পরবর্তীতে বাদী জানতে পারেন মো. আলী আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ওই সংসারে একটি পুত্র ও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এরপর বিষয়টি জানতে চাইলে আলী তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের প্রতারণার আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে সব প্রতারণার কথা স্বীকার করেন তিনি।

এজাহারে আরও বলা হয়, পরে গত বছরের ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্কটি গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার পূর্বের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট জানতে পারেন তিনি। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন তাকে বেধরক মারধর করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এছাড়াও এজাহারে বলা হয়, এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে আনেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। এ সময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার কথা বলেন। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.