শহীদ মিনারে চিত্রনায়ক ফারুককে শ্রদ্ধা

0
80

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেণ্য অভিনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মে) বেলা ১২টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শ্রদ্ধা জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে কমডোর এম এম নাঈম রহমান শ্রদ্ধা জানান।

পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নার চাঁপা ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

  • ফারুকের চিকিৎসায় বিক্রি করতে হয়েছে ১৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট

এরপর ধাপে ধাপে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় কবিতা পরিষদ, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ফারুকের কফিনে শ্রদ্ধা জানায়।

সোমবার সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান বরেণ্য অভিনেতা ফারুক। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর আট মাস।

মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১১টায় মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টায় মরদেহ নেওয়া হবে এফডিসিতে। পরে গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর জানাজা শেষে নায়ক ফারুককে সমাহিত করা হবে কালিয়াকৈর পারিবারিক কবর স্থানে। পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অভিনয় করেন বহু দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্রে। ‘মিয়াভাই’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে খ্যাতি পান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন এই নন্দিত চিত্রনায়ক। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.