সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ডা. কৃষ্ণ কুমার পাল।
শনিবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের হ্যাটট্রিক দায়িত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠিকতা শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি ও মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। ওই ছবি ডা. কৃষ্ণ নিজের ফেসবুকের ওয়ালে পোস্টও করেছেন।
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ডা. কৃষ্ণ যোগদান করেন গত প্রায় সাড়ে চার বছর আগে।
তবে এর পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ ওঠে। ১২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও আসবাব কিনে ২০ কোটি টাকা পাচারের দায়ে মানি লন্ডারিং আইনে তিন বছর আগে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। তবুও অজ্ঞাত কারণে কৃষ্ণ কুমারকে পিডি পদ থেকে সরানো যায়নি। উল্টো গত বছরের ২৭ জুলাই হাসপাতালের প্রশাসনিক উপপরিচালক পদটিও কৃষ্ণ কুমারের ঝুলিতে জমা হয়। এর মধ্যেই হ্যাটট্রিক মেয়াদে পদোন্নতি পেলেন তিনি।
জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের আগের পরিচালক ডা. সায়ফুল ফেরদৌস মুহা. খায়রুল আতাতুর্ক চাকরি থেকে অবসরে গেলেও পিডির কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিরুল হোসেন চৌধুরীর কাছে তিনি পরিচালকের দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেও দুটি দপ্তর পৃথক অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন ডা. কৃষ্ণ। বিষয়টি নিয়ে গত শুক্রবার সমকালে ‘হ্যাটট্রিক পদোন্নতি পেতে দৌড়ঝাঁপ সেই পিডির’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও ছাপা হয়।