শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

0
20
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ শুক্রবার (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের এইদিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যদের হাতে খুন হন তিনি।

জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প ও অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব এবং আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি দেশের স্বনির্ভরতার ভিত্তি গড়ে তোলেন। নারী ও শিশুদের উন্নয়নে তার আগ্রহ দেশের সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল তার অন্যতম গুণ।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, শহীদ জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এই কর্মসূচি ২৬ মে থেকে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রমনায় বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার জীবন ও কর্মের ওপর ভাষণ দেন।

শুক্রবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া, নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় উপস্থিত থাকবেন। গ্রেপ্তার ৩

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের ২৯ মে এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে গেলে, পরদিন গভীর রাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তাকে হত্যার পর রাউজানের গভীর জঙ্গলে গোপনে কবর দেয়া হয়। তিন দিন পর তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় আনা হয় এবং লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ শেরেবাংলা নগরে তার জানাজায় অংশ নেন। পরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.