বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা এবং পুষ্টি উন্নয়নে সারা দেশের নির্বাচিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ‘স্কুল ফিডিং’ কার্যক্রম নাটোর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ শীর্ষক প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদকালে দেশের নির্বাচিত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে পাঁচ স্কুল কর্ম দিবসে ফর্টিফাইড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমী ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ তথা পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে।
এরমধ্যে রোববারে ১২০ গ্রাম ওজনের বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম, সোমবারে বনরুটি এবং ২০০ গ্রাম ইউএইচটি দুধ, মঙ্গলবারে ৭৫ গ্রাম ওজনের ফর্টিফাইড বিস্কুট এবং কলা বা স্থানীয় মৌসুমী ফল, বুধবার এবং বৃহস্পতিবারে বনরুটি এবং সিদ্ধ ডিম প্রদান করা হবে।
প্রস্তাবিত খাদ্য তালিকায় মোট এনার্জির ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ৩২ দশমিক ২ শতাংশ, প্রোটিনের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ফ্যাটের ২১ দশমিক ৭ শতাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অর্ন্তভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা। এর ফলে বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হবে এবং ঝরে পড়া কমবে। পাশাপাশি প্রত্যেক বছর শতকরা ১০ ভাগের বেশি হিসেবে বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার হার অন্তত ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে, বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের ক্ষুধা নিবারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।


















