দেশের ফুটবলের সব থেকে সফল ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি হলো বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চারবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে ক্লাবটি। বিপিএলে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেও দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে বসুন্ধরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বড় জয় দিয়েই নিজেদের শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। পদ্মাপাড়ে ব্রাদার্সকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রবসন-রাকিবরা। এর আগে প্রথম দেখায় ব্রাদার্সকে ৫-২ গোলে হারিয়েছিল কিংস।
এদিন আগ্রাসী ফুটবলে ম্যাচের প্রথমার্ধেই জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে কিংস। প্রথমার্ধে ৪-১ গোলে বিরতিতে যায় তারা। ম্যাচের ২০ মিনিটেই সাদের গোলে এগিয়ে যায় কিংস। মিগেল দামাসেনার লম্বা করে বাড়ানো বলে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন সাদ। যদিও গোল করতে যেয়ে ব্রাদার্সের ফুটবলার মুসার ট্যাকলে ব্যাথা পান তিনি।
৩০ মিনিটে দুই ব্রাজিলিয়ানের রসায়নে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কিংস। মিগেলের বাড়ানো বলে দারুণ প্লেসিং শটে ব্রাদার্সকে পরাস্ত করেন রবসন রবিনহো। ৩৭ মিনিটে আবারও দুই ব্রাজিলিয়ানের ম্যাজিক। রিমনের কাটব্যাকে ডামি করে ব্রাদার্সের ডিফেন্ডারদের বোকা বানান রবসন।
বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি মিগেল। ৪১ মিনিটে রবসনের পাস থেকে গোল করেন এমনফন উদোহ। প্রথামার্ধের যোগ করা সময়ে সুফিলের ক্রসে নিচু হেডে গোল করেন বাংলাদেশের এলিটা কিংসলে।
ব্রাদার্সে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন এলিটা। বসুন্ধরা কিংসের দুই সাবেক ফুটবলার লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সোহেল রানার গোলে ব্যবধান ৫-১ করে কিংস। এরপর ৫৮ এবং ৫৯ মিনিটে যথাক্রমে মিগেল এবং এমফনের গোলে বড় হারের লজ্জা পেতে হয় ব্রাদার্সকে। পুরো ম্যাচে বসুন্ধরার রক্ষণের খুব একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি ব্রাদার্স।
তবে ব্রাদার্সের ফুটবলার রাব্বি হোসেন রাহুল আলাদা ভাবে নজর কেড়েছেন। দূরপাল্লার শটে কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর পরীক্ষা নিয়েছেন তিনি। তবে তাতে কোনও ফল আসেনি। এই হারে আবারও লিগ থেকে রেলিগেটেড হওয়ার শঙ্কা বাড়ল তলানির দল ব্রাদার্সের। অন্যদিকে শীর্ষস্থান মজবুত করলো কিংস।