আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ‘জয় বাংলা’ লিখেছেন, অথচ বিএনপি এই স্লোগান দেয় না: কৃষিমন্ত্রী

0
106
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় ‘জয় বাংলা’ উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না। তারা দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মো. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস-সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান বিএনপি দেবে না।’

বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করে মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গা দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একই সঙ্গে, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছে।

কৃষিঋণ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি খাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানান কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকেরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকেরা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে জন্য, প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।

কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে মো. আব্দুর রাজ্জাক কৃষকদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করেন ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। এবি ব্যাংক সহজ শর্তে মাত্র শতকরা চার ভাগ সুদে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার ১৫০০ কৃষকের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করে। প্রতি কৃষককে এক লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।

এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছরোয়ার আলম খান, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ, মধুপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.