প্রিয়ন্তী উর্বী। অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দীপ্ত প্লেতে উন্মুক্ত হয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব ছবি ‘অপলাপ’। ওয়েব ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এমদাদুল হক মিলটন।
‘অপলাপ’ ওয়েব ছবিটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালোই। যারা ছবিটি দেখেছেন খুবই ভালো বলেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও অনেক লেখালেখি হয়েছে। ‘অপলাপ’ মুক্তি পেয়েছে বেশিদিন হয়নি। দর্শকের সাড়া পুরোপুরি বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। দর্শক আসলে দিনশেষে ভালো গল্প দেখতে চায়। এটি তেমনই।
বর্ষা চরিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
এখানে আমি বিপরীতমুখী চরিত্রে অভিনয় করেছি। পুরো ঘটনায় সে সাপোর্টিভ। চরিত্রে নানা বাঁক রয়েছে। বিপরীত চরিত্র এমনিতেই চ্যালেঞ্জিং। থ্রিলার গল্পে শেষ পর্যন্ত বোঝা যাবে না যে আমার জন্য পুরো ঘটনা ঘটছে। শুরু থেকেই চরিত্রটির গতিপ্রকৃতি যেন বোঝা না যায়, এ রকম একটি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।
এই সময়ে ব্যস্ততা কী নিয়ে?
সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপের একটি প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-এ কাজ করার কথা রয়েছে। সবকিছু পরে জানাতে পারব। এ ছাড়া ‘সিটি গোল্ড’ নামে নতুন একটি সিনেমায় কাজ করছি। সজল এ আজাদের পরিচালনায় এতে আমার সহশিল্পী পেয়েছি বরেণ্য অভিনেতা আফজাল হোসেনকে।
‘সিটি গোল্ড’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এখানে আমি গ্রামের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। পরিবারের নানা ক্রাইসিসে সে হাত বাড়িয়ে দেয়। নির্মাতা খুব ধরে ধরে কাজটি করেছেন। আফজাল ভাই অনেক সহযোগিতাপরায়ণ শিল্পী। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কখনও মনেই হয়নি এত বড় মাপের একজন শিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করছি। মনে হয়েছে, তাঁর সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। সিনেমায় গুণী এ অভিনেতার সঙ্গে আমার একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল। অন্তরঙ্গ দৃশ্যে খুব নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে সহজ করে নিয়েছিলেন। সিনেমায় এমন কোনো দৃশ্য নেই যে আমি অভিনয় করিনি। শুটিংয়ের মাঝে মাঝে নির্মাতাকে বলেছি, একাই এত দৃশ্যে অভিনয় করা ঠিক নয়। অনেক ভালো না করলে টিকে থাকা কঠিন।
গ্ল্যামারাস চরিত্রের বাইরে অভিনয়ের আগ্রহ কতটুকু?
গল্পকে সব সময় প্রাধান্য দিই। গল্প ভালো লাগলে গ্ল্যামারাস হোক কিংবা গ্রামের কোনো সাধারণ মেয়ের চরিত্রে হোক– কোনো চরিত্রেই অভিনয় করতে সমস্যা নেই। সুন্দর লাগলে তো ভালো। তবে সুন্দরের চেয়ে আমি অভিনয়কে বেশি প্রাধান্য দিই। নির্মাতারা আমাকে গ্ল্যামারাস চরিত্রের বাইরেই বেশি ভাবছেন।
আপনার রোল মডেল কে?
অপি আপু [অপি করিম]। তাঁর ন্যাচারাল অভিনয় আমার পছন্দের।
অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন কী?
তারকা নয়, অভিনেত্রী হতে চাই। খুব জনপ্রিয় হতে হবে, এটি আমি মনে করি না। রাস্তায় দাঁড়ালে আমাকে দেখে ১০ জন ভিড় করবে, এমন ভাবনাও নেই। সব সময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চাই।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাউকে কি প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন?
আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কারণ, লড়াইটা প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গেই করি।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় নিয়ে কিছু ভাবছেন?
বাণিজ্যিক সিনেমা আমাকে কম টানে। এর পরেও যদি ‘মিশন এক্সট্রিম’ বা ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর মতো কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাই, তাহলে অবশ্যই করব। প্রতি বছর যে আমাকে পাঁচ-ছয়টি সিনেমা করতে হবে, আমি সেটা মনে করি না। সংখ্যায় কম হলেও ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে চাই।