বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এবারই প্রথমবার হেরেছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিলেও শেষ ম্যাচে রীতিমতো উড়ে গেছে কিউইরা। ম্যাচ শেষে সেটা অবলীলায় স্বীকার করে নিলেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। কিউই অধিনায়কের মতে, শুরুর চাপ সামলেই দিতে পারেনি দলটি।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে সফরকারীরা। নেপিয়ারে ম্যাকলিন পার্কে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শরিফুল-সৌম্যদের বোলিং তোপে ৩১.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বিজয়-শান্তদের ব্যাটে ১৫.১ ওভারে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
ম্যাচটিতে ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল। আর তানজিম হাসান ৭ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন। এমনকি ৬ ওভারে ১৮ রানে দিয়ে ৩ উইকেট নেন সৌম্য। নিউজিল্যান্ডের ১০ উইকেটের সবগুলোই গেছে চার পেসারের ঝুলিতে।
ম্যাচ শেষে টাইগার পেসারদের নিয়ে কিউই দলপতি টম ল্যাথাম বলেন, ‘অবশ্যই আমরা প্রত্যাশার চেয়েও বাজে খেলেছি…বাংলাদেশ (বোলাররা) মুভমেন্ট পেয়েছে এবং ভালো জায়গায় বল করেছে। তাদের প্রশংসা করতেই হবে।’
ল্যাথাম আরও বলেন, সব বিভাগেই আমরা পরাস্ত হয়েছি বাংলাদেশের কাছে। সত্যি বলতে এই উইকেটে বোলারদের জন্য অনেক সুবিধা ছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব ছিল বড় জুটি গড়ার। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে হলেও আজ সেটা হয়নি। আজ ওরা আমাদের শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল। এরপর দ্রুতই একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। যখন আপনি ১০০ রানও করতে পারবেন না, তখন প্রতিপক্ষ (রান তাড়া করতে নেমেই) শট খেলার চেষ্টা করবে। বাংলাদেশ সেটাই করেছে।’
ম্যাচ হারলে নিউজিল্যান্ডের জন্য ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন ল্যাথাম। মূলত, নতুন তিন মুখ উইলিয়াম ও’রুরক, জশ ক্লার্কসন ও আদিত্য অশোক ভালো করাতেই বেশি খুশি ল্যাথাম। তিনি বলেন, ‘পুরো সিরিজের দিকে তাকালে দেখবেন আমাদের তিনজন (আদিত্য অশোক, জশ ক্লার্কসন, উইলিয়াম ও’রউরকে) অভিষিক্ত ক্রিকেটার ছিল। ব্যাপারটি দারুণ। এমন সিরিজে নতুন ক্রিকেটারদের খেলানো, ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করাটা সবসময়ই বেশ ভালো ব্যাপার। সবাই সিরিজজুড়ে সুযোগ পেয়ে গেছে এবং তারা তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে গেছে। সিরিজজুড়ে তারা দলের জন্য অবদান রেখেছে যা বেশ ভালো ব্যাপার ছিল। আমরা ওয়ানডে ক্রিকেট কিছুটা কম খেলছি এবং দলে হয়ত গভীরতাও কম ছিল। তবে এমন নতুন কিছু ক্রিকেটারকে বাজিয়ে দেখতে পারার বিষয়টি সবসময়ই অসাধারণ।’
এদিকে ২৭ ডিসেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তিন ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরছেন বিশ্বকাপের পর থেকে বিশ্রামে থাকা কয়েকজন কিউই ক্রিকেটার। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড এখনই গড়ে তুলতে চান ল্যাথাম। কিউই এই অধিনায়ক বলেন, ‘বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশে (টেস্ট) খেলার পর যারা বিশ্রামে ছিল, ওদের অনেকেই চাঙা হয়ে ফিরবে। ৬ মাস পরেই (টি–টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ। ওরা এখন এই সংস্করণের দিকে তাকিয়ে আছে।’