ভোটের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছেন সাংবাদিকরা

0
85
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ও অনুমোদনসূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না

নানা সমালোচনা ও দাবির মুখে অবশেষে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছেন সাংবাদিকরা। নির্বাচনের সময় মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করে সোমবার নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সংশোধন অনুমোদন করেছে। মঙ্গলবার সংশোধিত এই নীতিমালা জারি হতে পারে। সূত্র জানায়, সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে সাংবাদিকরা শর্তসাপেক্ষে সীমিত সংখ্যক মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের জন্য শর্তগুলো সাধারণভাবেই প্রযোজ্য যেমন- চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা, মোটরসাইকেলের নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাগজপত্র থাকা ইত্যাদি। এগুলো সঙ্গে থাকলে সাংবাদিকদের নিজের মোটরসাইকেল ব্যবহারে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকক্ষে প্রবেশসহ নির্বাচনী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের ব্যাপারে একটি নীতিমালা জারি করে। এতে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের চলাচলে মোটরসাইকেল ব্যবহার, ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান ও ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। নীতিমালাটি জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়।

তাৎক্ষণিক ভাবে এতে আপত্তি জানায় নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসিসহ (আরএফইডি) সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতি দিয়ে ইসির সমালোচনা করে।

নীতিমালার কারণে গত ২৬ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পায়নি। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রতিবাদের কারণে ওই উদ্যোগ কার্যকর হয়নি।

গত ২৭ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। এ সময় তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেল ছাড়া সাংবাদিকদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমের যে দাবি সেটাও যৌক্তিক।’

বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের সারাহ কুকের ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা বলেছি, মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হতে পারে এবং যারা মাসলম্যান (পেশি শক্তি ব্যবহারকারী) তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করতে পারে কি না- এই প্রশ্নে এটি বাদ রাখা হয়েছিল। বিষয়টি আমরা বিবেচনাধীন রেখেছি এবং আমরা যথাযথভাবে পরিবর্তন করব।

উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল জারি হওয়া নীতিমালার আগে যে নীতিমালা বিদ্যমান ছিল সেখানে নির্বাচনের সময় ইসির থেকে অনুমোদন নেওয়া সাপেক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিধান ছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.