সংঘাতপূর্ণ লেবানন থেকে আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় আরও ৩১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, লেবাননের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে তৃতীয় দফায় দেশে ফেরার জন্য রফিক হারারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দায় যাবেন ৩১ বাংলাদেশি। সেখান থেকে তাদের বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
লেবানন থেকে দেশে ফিরতে মোট ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। তাদের প্রত্যেককে পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার লেবাননে আটকে পড়া ৫৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রথম দলটি ২১ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন। দ্বিতীয় দফায় দুই নবজাতকসহ মোট ৬৫ লেবানন প্রবাসী সৌদি আরবের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (এসভি ৮১০) জেদ্দায় যাত্রাবিরতির পর বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৩৪ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
লেবাননে চলমান সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা সমন্বয় করা হচ্ছে।
সোমবার আইওএম বাংলাদেশ জানায়, লেবাননে সংঘাত বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আইওএম-ইউএন মাইগ্রেশন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় লেবানন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং দেশে আগমনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে।
লেবাননে আনুমানিক ৭০ হাজার থেকে এক লাখ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। তবে এর মধ্যে ১ হাজার ৮০০ জন দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
এর আগে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস আগ্রহী নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
পরে দূতাবাস জানায়, লেবাননে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে যেতে দূতাবাস বরাবর আবেদন করেছেন এবং যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।